Sattu | রোজ সকালে এক গ্লাস ছাতুর শরবত খেলেই সারাদিন মিলবে এনার্জি! জানুন পুষ্টির ভান্ডার ছাতুর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে!

Tuesday, March 5 2024, 2:20 pm
highlightKey Highlights

ছাতুর শরবত যেমন পেট ভরায়, তেমনি পুষ্টির যোগানও দেয়। প্রোটিন, ফাইবার, কার্বস, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন খনিজে ভরা ছাতু খাওয়া যায় বছরভর।


ছাতুর শরবত (Sattu drink) ভারতের বেশ জনপ্রিয় এক পানীয়। তবে অনেকেই ‘দরিদ্রদের আহার্য’ তকমা লাগিয়ে ছাতুকে ব্রাত্য করে রাখেন। তবে এর পুষ্টিগুণ হাজারো খুঁজলেও হয়তো পাওয়া যায়না একসঙ্গে। প্রোটিন, ফাইবার, কার্বস, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন খনিজে ভরা ছাতু। শরীরে শক্তির যোগান দিতে হোক, ওজন কমানোর জন্য হোক কিংবা পেট ভরার জন্যই হোক, ছাতু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা।

স্বল্প মূল্যে সুস্থতার চাবিকাঠি হিসেবে ছাতু অতুলনীয়। পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন, রোজ সকালে এক গ্লাস জল কিংবা দুধে ছাতু পাউডার (Sattu Powder)মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারলেই মিলবে পুষ্টি। কারণ ১০০ গ্রাম ছাতু থেকে পাওয়া যায় প্রায় ২০ গ্রাম ভেগান প্রোটিন। এই প্রোটিন পেশির গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়। এছাড়াও রয়েছে ছাতুর একাধিক গুণ।

এনার্জি যোগাতে পারে ছাতুর শরবত :

 গরমের দিনে অল্প কাজ করেই এনার্জিতে ঘাটতি দেখা যায়। ফলে সকাল সকাল যদি ছাতুর শরবত খাওয়া যায়, তাহলে এনার্জি আসে। শরীরে ভিটামিন ও খণিজের ঘাটতি দূর হয়। বলা হচ্ছে, শরীর ও মস্তিষ্কের ক্ষমতা ভালো হয় ছাতুতে। এছাড়া ছাতুর প্রোটিন সামগ্রী (Sattu protein content) শরীরে এনার্জির যোগান দেয়।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ছাতুর উপকারিতা :

 গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ছাতুতে কম থাকায় ছাতুতে থাকা শর্করা ধীরে ধীরে মিশে যায় রক্তে। ফলে রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। বলা হচ্ছে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে ছাতুর শরবত (Sattu drink) খুবই উপকারি।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় :

 ছাতুতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও হজম করাতে সাহায্য করে ছাতু। ফলে সকালে উঠে ছাতুর শরবত খাওয়ার নানান উপকারিতা রয়েছে। ছাতুতে প্রচুর পরিমাণে ইনসল্যুবল ফাইবার আছে৷ যাতে আমাদের পরিপাক ক্রিয়া উন্নত হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফেঁপে যাওয়া, গ্যাস, অম্বল, পেট জ্বালা করার মতো সমস্যায় ছাতু খুবই কার্যকর।

মহিলাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী :

 মহিলাদের শারীরিক ক্ষমতা বাড়াতে ছাতু দারুন উপকারি। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস জলে এক চামচ ছাতু খেলে তা শরীরের পক্ষে দারুন উপকারি হয়। শিশুদের শরীরের যত্ন নিতেও এই ড্রিঙ্ক সাহায্য করে। 

ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য :

 চিকিৎসকদের মতে ছাতুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফাইবার, ক্যালশিয়াম। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ছাতুর উপকারিতা (Sattu benefits)ত্বক এবং স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। যবের গুঁড়া বা ছাতু প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় তা খেলে ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

ওজন কমায় :

 ছাতুতে ত্বক খুব ভালো থাকে, সেটা যেমন একটি উপকারি দিক, তেমনই পেশীকে সুগঠিত করতেও ছাতুর গুরুত্ব রয়েছে। ওজন ঝরানোর চেষ্টায় থাকলে ছাতুর উপকারিতা অনেক। ছাতুতে থাকা ফাইবার পেট অনেকক্ষণ ভরিয়ে রাখে এবং ছাতুর প্রোটিন সামগ্রী (Sattu protein content) শরীরে পুষ্টি যোগায়।

প্রসঙ্গত,ছাতু পাউডার (Sattu Powder) এর নানান গুণাগুণ থাকলেও এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন এটি খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। যাদের আগে থেকেই গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাদের প্রতিদিন ছাতু না খাওয়াই উচিত। এছাড়াও যাদের পিত্তথলিতে পাথরের সমস্যা রয়েছে, তাদের এই খাবার এড়িয়ে চলাই উচিত। নাহলে সেই সমস্যা আরও বেশি পরিমানে বাড়তে পারে। তবে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ছাতু খাওয়া যেতেই পারে। পুষ্টিবিদ বিশেষজ্ঞদের মতে, গরম যত বাড়বে ততই এই খাবার খেতে পারবেন। তবে গরমে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম ছাতু খাওয়া যেতেই পারে। তবে একটা জিনিস মাথায় রাখা খুব প্রয়োজন। ছাতু খাওয়ার পর অবশ্যই জল খেতে ভুলবেন না। আর যদি শরবত করে খান, তাহলে আর সেই প্রসঙ্গ আসছে না।




পিডিএফ ডাউনলোড | Print or Download PDF File